করোনার সম্ভাব্য চিকিৎসার কথা জানালো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য বিশ্বের শীর্ষ সাত থেকে আটটি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস । সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমনটি জানান। সংবাদ সম্মলেনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানায়, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজ খুব দ্রুতভাবে করা হচ্ছে। আর এই ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সদস্য দেশগুলোকে আরো বেশি অর্থায়নের আহ্বান জানান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসাস। রয়্টার্সের হিসাবে, এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ৪১ লাখ ৯০ হাজার মানুষ শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস বলেন, কিছু চিকিৎসা আমাদের হাতে আছে, প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, তাতে অসুস্থতার ব্যাপ্তি ও তীব্রতা কমে আসছে। কিন্তু এমন কিছু নেই, যাতে ভাইরাসটিকে ধ্বংস কিংবা বিস্তার বন্ধ করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে আসা কিছু উপাত্তে সম্ভাব্য ইতিবাচক বার্তাই দিচ্ছে। কিন্তু শতভাগ আত্মবিশ্বাসের জন্য আমাদের আরও বেশি উপাত্তে নজর দিতে হবে। তখনই নিশ্চিত বলতে পারবো, এই রোগের চিকিৎসা কী হবে। সেক্ষেত্রে আরও গবেষণা ও পরিকল্পনা করতে হবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই নারী কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
তবে এসব চিকিৎসার নাম বলেননি হ্যারিস। গিলাড সায়েন্স ইনকর্পোরেশন জানায়, করোনা রোগীদের সুস্থ হতে তাদের ভাইরাস প্রতিরোধী ওষুধ রেমডেসিভির সহায়ক ভূমিকা রাখছে। করোনার টিকা উদ্ভাবনকে ঘিরে যে প্রত্যাশা বাড়ছে, তাতে সতর্কতামূলক নোট দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা। তারা বলেন, করোনা খুবই জটিল একটি ভাইরাস হওয়ায় এটির প্রতিরোধে টিকা উদ্ভাবনও কঠিন। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে শতাধিক টিকা উদ্ভাবনের কাজ চলছে। কয়েকটির ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়েছে। গত এপ্রিলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, একটি কার্যকর টিকা আবিষ্কারে অন্তত ১২ মাস সময় লাগবে। হ্যারিস বলেন, ভাইরাসের এখনকার মূল উৎসভূমি যুক্তরাষ্ট্র হলেও আফ্রিকায় রোগী বাড়ছে।